খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের নকশা ও সাজসজ্জা মন কাড়ছে এই পথে চলাচলকারীদের। তাই তো স্টেশনে ঘুরতেও আসেন অনেকে।
আধুনিক এই রেলস্টেশনটি তিনতলা বিশিষ্ট। প্রথম তলায় রয়েছে ৬টি টিকিট কাউন্টার, বিশ্রামাগার ও সহকারী স্টেশন মাস্টারের কক্ষ।
দ্বিতীয় তলায় স্টেশন মাস্টারের রুম, রেস্তোরাঁ, ব্যাংকের শাখা, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বিশ্রামাগার, ফাস্টফুডের দোকান ও রেল কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা কক্ষ। তৃতীয় তলায় রয়েছে রেলওয়ের প্রকৌশলীদের দাপ্তরিক কক্ষ।
নতুন এই স্টেশনে একসঙ্গে ৬টি ট্রেন প্রবেশ এবং বের করতে সক্ষম। রয়েছে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশন চত্বরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
শাহিন হোসেন নামে বেনাপোলগামী এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তিনি বলছিলেন, “আগে তো স্টেশন অন্যপাশে ছিল, এটা কয়েকবছর হলো করছে। এটার সুযোগ সুবিধা আগের থেকে অনেক ভালো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর আগের থেকে অনেক উন্নত।"
সাইফুল ইসলাম নামে ঢাকার এক বাসিন্দা খুলনায় বেড়াতে এসে ঢুঁ মারলেন রেল স্টেশনে।
তিনি 'হ্যালো'কে বলেন, “এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। চারিদিক ঘুরে দেখলাম বেশ পরিষ্কার, স্টেশনটি দেখতেও খুব সুন্দর।“
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ট্রেন। এর আগে একই বছরের ৩রা মার্চ সার্কিট হাউজের জনসভায় খুলনা আধুনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: খুলনা।