তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান, যেখানে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন।
Published : 30 Oct 2024, 06:54 PM
সুকুমার রায়ের লেখনীর রসবোধ ও সৃজনশীলতা আজও সব বয়সের পাঠককে মুগ্ধ করে। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, চিত্রশিল্পী ও আলোকচিত্রী। তবে বাংলা সাহিত্যে তার সবচেয়ে বেশি খ্যাতি শিশু সাহিত্যিক হিসেবে।
সুকুমার রায় ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম নেন। তার মতো তার বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীও ছিলেন খ্যাতিমান লেখক ও শিশু সাহিত্যিক। বাবার সান্নিধ্যে শৈশব থেকেই সুকুমারের মধ্যে সৃজনশীলতার প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়।
তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান, যেখানে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন।
সেখান থেকে দেশে ফিরে সুকুমার তার বাবার প্রতিষ্ঠিত 'সন্দেশ' পত্রিকায় কাজ শুরু করেন এবং শিশুদের জন্য কবিতা ও ছড়া লিখে পত্রিকাটিতে নতুনত্ব নিয়ে আসেন। তার লেখাগুলি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সুকুমার রায়ের অন্যতম কীর্তি হলো 'আবোল তাবোল'। এই গ্রন্থে অদ্ভুত ও মজার ছড়ার মাধ্যমে তিনি বাংলায় এক অনন্য রসবোধের ধারা সৃষ্টি করেন। এছাড়াও 'হ য ব র ল' ও 'পাগলা দাশু'সহ তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থও শিশুদের কাছে সুখপাঠ্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে আছে।
সুকুমার রায় ১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে তার রচনা আজও শিশুদের মনোরঞ্জন ও কল্পনাশক্তি বিকাশে অমর হয়ে আছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।