তাদের পরিকল্পনা ছিল এভাবে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে মেরুদণ্ডহীন করে দেওয়া।
Published : 03 Nov 2023, 07:59 AM
বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত এবং বেদনাময় দিন ৩রা নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীর চার নেতাকে কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়। প্রতি বছর দিনটিকে জাতীয় চার নেতার স্মরণে 'জেল হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলেন জাতীর চার নেতা। তারা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর।
এই চারজন নেতার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকার গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিকপথে পরিচালনা করে বিজয়কে ত্বরান্বিত করেন তারা।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তানপন্থী এদেশের দোসররা দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বদের হত্যা করে দেশকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনা করে।
নবম-দশম শ্রেণির বিশ্বপরিচয় বই থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা এবং একই বছরের ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা ছিল মূলত একই পরিকল্পনার অংশ।
খন্দকার মোশতাকের মদদে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশত্যাগের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল এভাবে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে মেরুদণ্ডহীন করে দেওয়া।
জেলখানায় বন্দি অবস্থায় এভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হত্যা করাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে ধরা হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।