
অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা ছবি।
ছেলেবেলায় তিনি পরিচিত ছিলেন 'দুখু মিয়া' নামে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা সাহিত্যের বড় একটি স্থান তিনি দখলে নিতে শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
নবম দশম শ্রেণির জন্য রচিত 'বাংলা সাহিত্য' পাঠ্য বই থেকে জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ অর্থাৎ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ এবং মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্যতা ছিল তার নিত্যদিনের সঙ্গী। এ কারণেই তিনি 'দুখু মিয়া' নামে পরিচিতি পান।
বই থেকে জানা যায়, দুখু মিয়ার প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় গ্রামের মক্তবে। প্রবেশিকা শেষ না করেই ১৯১৭ সালে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে। ১৯২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলে তার সামরিক জীবন। সেখানেই তার সাহিত্য অধ্যায়ের সূচনা ঘটে।
তার বিদ্রোহী লেখনী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সকল জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা ও সাহস যোগায়।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত পেলেও সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
কাজী নজরুল ইসলাম ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমশ বাকশক্তি হারান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসুস্থ কবিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। পরবর্তীতে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়।
১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট ঢাকায় দুখু মিয়ার জীবনাবসান ঘটে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: জামালপুর।