ধীরে ধীরে এই উৎসব বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও খুব অল্প বিস্তর জায়গায় পালন করতে দেখা যায়।
Published : 31 Oct 2024, 09:15 PM
রক্তমাখা হাত, নিঃশব্দ চিৎকার কিংবা মৃতদের কান্না - গায়ে হিম ধরানো এরকম নানা জিনিস নিয়ে চর্চা করা হয় হ্যালোউইন উৎসবে। যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে।
বর্তমান আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উত্তর দিকের অংশে তখন বাস করত সেল্টিক নামের এক জাতিগোষ্ঠী। তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল হ্যালোউইন উৎসব।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়েবসাইট হিস্টোরি ডটকম বলছে, পহেলা নভেম্বরকে নববর্ষ হিসেবে পালন করত সেল্টিক জাতির সদস্যরা। ফলে নববর্ষের আগের রাত তাদের কাছে গ্রীষ্ম শেষ এবং ফসলের মৌসুম শেষ হওয়ার ক্ষণ হিসেবে পরিচিত ছিল।
এছাড়া শীতের আগমনের মুহূর্ত হিসেবেও পরিচয় ছিল এই রাতের।
সেল্টিক জাতির সদস্যরা শীতকে অন্ধকার ও মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করত। তাদের বিশ্বাস ছিল ৩১ অক্টোবর রাতে জীবন ও মৃত্যুপুরীর মধ্যকার সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যায়। এই রাতে মৃতরা ভুত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ফলে মৃত আত্মাদের থেকে রক্ষা পেতে তারা বিভিন্ন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণ করত। সাধারণত তারা নিজেরাই ভুতের মতো করে সাজত। এই রীতিটিই একসময় উৎসবে পরিণত হয় এবং যা তাদের কাছে 'সাহেইন' উৎসবে নামে পরিচিত ছিল।
সময়ের পরিক্রমায় এটিই এখন হ্যালোউইন উৎসব নামে পরিচিত।
ধীরে ধীরে এই উৎসব বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও খুব অল্প বিস্তর জায়গায় পালন করতে দেখা যায়। দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিং মলে থাকে ভৌতিক আয়োজন।
হ্যালোউইন মূলত রাতে উদযাপন করা হয়, বিশেষ করে ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। এদিন শিশুরা নানা ধরনের পোশাক পরিধান করে ভুত সাজার চেষ্টা করে। আবার অনেকে এদিন উপহারও বিনিময় করে থাকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।