অষ্টম শ্রেণি পাশের পরই বাল্যবিয়ের শিকার হন শেরপুর সদরের নলবাইদ নয়াপড়া গ্রামের এক নারী।
Published : 08 May 2024, 02:28 PM
মূলত দারিদ্র্যের কারণে বাবা মা তাকে বিয়ে দেন। বিয়েতে তার মত ছিল না।
আক্ষেপ করে এই নারী বলছিলেন, “আমি দরিদ্র ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। সমাজের লোকজন বলত, মেয়ে বড় হয়ে গেছে,লম্বা হয়ে গেছে। বিয়ে দিয়ে দেও, সমস্যা কী?
“একদিন বৃহস্পতিবার, স্কুল থেকে বাড়িতে এসে শুনি আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সে দিনই বিয়ে,সন্ধ্যার পরে বিয়ে (বরযাত্রী) আসবে। তখন আমি ক্লাস এইট থেকে নাইন এ উঠছি।”
বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই স্বামী তাকে সন্তান নেওয়ার জন্য চাপ দেন। তিনি তাতে রাজি না হলে চাপ আসে তার পরিবার থেকেও।
তিনি বলেন, “শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলল, তোমার বাবা মা বিয়ে দিয়েছে এখন বাচ্চা নিতেই হবে।”
বিয়ের পর নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে হয় তাকে। ঘন ঘন ঠাণ্ডা ও জ্বরে ভোগার পাশাপাশি হাত ও কোমরের ব্যথায় ভুগতে হয়েছে। শিশুবিয়ে বন্ধে বাবা মাকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করেন এই নারী।
তিনি বলেন, “মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়াটা কিন্তু ভুল না,মেয়েরা কিন্তু অনেক কিছু করতে পারে। মেয়েরা লেখাপড়া করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। শুধু যে ছেলেরাই চাকরি করতে পারবে তা না। মেয়েরাও কিন্তু চাকরি করতে পারবে। কথা হচ্ছে বাবা-মা সতর্ক হওয়া লাগবে।”
প্রতিবেদকের বয়স:১৪ । জেলা: শেরপুর।