কনকনে ঠাণ্ডায় খেজুর রস (ভিডিওসহ)

“প্রথম দিনের রস কড়া মিষ্টি হয়। আর দ্বিতীয় দিন থেকে হালকা মিষ্টি হয়। তবে দুই দিনেরটাই পুষ্টিতে ভরপুর, কৃমিনাশক।"

‘খেজুরের রস যশোরের যশ’ প্রবাদে থাকলেও শুধু যশোর নয় বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই শীতের পিঠা পুলির উৎসবে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই খেজুরের রস আর পাটালি গুড়ের পিঠা-পায়েস।

দেশব্যাপী এর জনপ্রিয়তা থাকায় বাণিজ্যিক ভাবেও রস ও গুড় উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছেন অনেক ব্যবসায়ী।

রংপুরের বিভিন্ন জায়গাতেও খেজুর রস ও গুড় পাওয়া যায়। এক গ্লাস রস পান করতে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব খেজুরের বাগানে ছুটে যায় মানুষ।

সম্প্রতি জেলার জগদেশপুরে রস খেতে গিয়ে কথা হয় নগেন বাবু নামের এক রস ব্যবসায়ীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, "শীত আসার আগে আগে গাছের ডালপালা কেটে রোদে শুকায়ে গাছ তৈরি করতে হয়।”

খেজুর রসের স্বাদ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রথম দিনের রস কড়া মিষ্টি হয়। আর দ্বিতীয় দিন থেকে হালকা মিষ্টি হয়। তবে দুই দিনেরটাই পুষ্টিতে ভরপুর, কৃমিনাশক।"

নগেন বাবু আরও বলেন, "আমি রসের ব্যবসায় আসছি কারণ আমাদের অঞ্চলে কেউ এটা করে না। এই গাছ পানি উৎপাদন করে। প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ লিটার রস বিক্রি হয়। এর ফলে প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় হয়। সাংসারিক খরচের পরেও বেশ কিছু টাকা আমার জমে।"

কথা হয় রস খেতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গেও।

রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর থেকে রস খেতে এসেছেন নীলাম্বরী নওশীন নামের এক নারী।

তিনি বলে, "আমি আজ প্রথমবার খেজুরের রস খেতে এসেছি। খেজুরের রস মোটামুটি ভালোই লেগেছে।"

সাব্বির হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, "সকাল সকাল আসলাম, ভালোই লাগছে। আগের খাওয়া রসের সঙ্গে আজকের রসের পার্থক্য আছে কিছুটা। তবুও ভালোই লেগেছে।"

প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com