‘সে জানায়, শুরুর দিকে যেমন উৎসাহ সে পেয়েছে, তেমন বাধাও এসেছে। তবে সে কেবল ইতিবাচক দিকগুলোকেই গ্রহণ করেছে অনুপ্রেরণা হিসেবে।’
Published : 31 Jan 2024, 07:06 PM
শখের বসে কার্টুনের কণ্ঠ নকল করতে করতেই ‘মিমিক্রি’ শিল্পী ও ‘পাপেট্রিয়ার’ হয়ে উঠে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া সামিহা অর্পিতা।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অর্পিতা বলে, “ছোটবেলার থেকেই কার্টুন দেখতে অনেক ভালোবাসতাম। তখন তাদের ভয়েস বেশ আকর্ষণীয় লাগত।
“বিশেষ আকর্ষণ করে শিনচান কার্টুনটি। তখন এই কার্টুনের কণ্ঠ হুট করে একদিন নকল করে বন্ধু এবং বোনকে শোনালে তারা হুবহু শিনচানের ভয়েস বলে মন্তব্য করে।”
এরপর থেকেই থেকে অর্পিতা সবার মাঝে ‘শিনচান’ হয়ে উঠে। যদিও কার্টুনের কণ্ঠ নকল করাকেই যে ‘মিমিক্রি’ বলে অর্পিতার তখনো তা অজানাই ছিল। ইউটিউব দেখে 'মিমিক্রি' সম্পর্কে পুরোপুরি জানা হয় তার।
এ প্রসঙ্গে অর্পিতা বলে, “করোনার অবরুদ্ধ সময়ে ভয়েসগুলো রেকর্ড করে একটা ভিডিও বানালাম মিমিক্রির উপর। পরে ফেইসবুকে ও বিভিন্ন প্রতিভা বিকাশ গ্রুপে তা আপলোড করি। সেখান থেকে বেশ সাড়া ও অনুপ্রেরণা পাই মিমিক্রির ব্যাপারে। এই উৎসাহে মিমিক্রি চালিয়ে যাই।
“মিমিক্রি মূলত আমি শুরু করি প্রথমে। তারপর শুরু করি পাপেট্রি। আমার পেইজও খুলি ‘শিনচান অর্পিতা’ নামে এবং সেখানে মিমিক্রি ভিডিও আপলোড করতে থাকি।”
গলার স্বরকে বিভিন্ন মাত্রায় নামিয়ে কথা বলার চেষ্টা, ভিডিও বানানো, নেপথ্য কণ্ঠ- এসব করতে করতেই নিয়মিত অনুশীলন চলে অর্পিতার।
সে জানায়, শুরুর দিকে যেমন উৎসাহ সে পেয়েছে, তেমন বাধাও এসেছে। তবে সে কেবল ইতিবাচক দিকগুলোকেই গ্রহণ করেছে অনুপ্রেরণা হিসেবে।
অর্পিতার দেখাদেখি আরও অনেকে 'মিমিক্রি' শিল্পী হতে চেষ্টা করছে। এই বিষয়টিও তাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্পিতা ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন বুনছে। তবে নেপথ্য কণ্ঠ, মিমিক্রি ও পাপেট্রির কাজও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।