মন কাড়ছে পদ্ম বিলের শোভা (ভিডিওসহ)

"ফেইসবুকে দেখেছি এই পদ্ম বিল। এসে মন জুড়িয়ে গেছে। পুরো বিল যেন এক পদ্ম ফুলের বাগান।"

নেত্রকোণার গোবিন্দ চাতাল বিল যেন পদ্ম ফুলের সাম্রাজ্য। এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

জেলা শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার চল্লিশা, কাইলাটি, শ্রীধরপুর, নুরপুর, দরিদাগিসহ, অন্তত সাত গ্রামের প্রায় একশত একর জায়গা জুড়ে এই বিলের অবস্থান। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন পদ্ম ফুলের বাগান। বিলটি তাই পদ্মবিল নামেই পরিচিতি পেয়েছে।

নেত্রকোণা শহরের নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা কল্পনা সূত্রধর। বিল দেখতে এসে তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিলজুড়ে ফোটা ফুল দেখতে দারুণ ভালো লাগছে। ১৫০ টাকা দিয়ে বিলে দুই ঘণ্টা নৌকায় ঘুরেছি। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরে মন অনেক ভাল লেগেছে।"

কিশোরগঞ্জ থেকে মেয়েকে নিয়ে পদ্মবিল দেখতে এসেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।

তিনি হ্যালোকে বলছিলেন, "ফেইসবুকে দেখেছি এই পদ্ম বিল। এসে মন জুড়িয়ে গেছে। পুরো বিল যেন এক পদ্ম ফুলের বাগান।"

নেত্রকোণা থেকে আসা তাবাসসুম নীনা নামে একজন শিক্ষার্থী বলে, "বর্ষার শেষ। শরৎ শুরু। এরকম সময়ে পদ্মের শোভা মন কেড়ে নিয়েছে। শহর থেকে পাকা রাস্থা ধরেই বিল পাড়ে পৌঁছেছি। এখানের পরিবেশ ভালো লেগেছে। নিরাপত্তাও ভালো। তবে নৌকাগুলোতে কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম থাকলে আরো ভাল হতো।"

ডিঙি নৌকা ভাড়া করে দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়ান, তাই নৌকা চালিয়ে আয়ের পথও খুঁজে পেয়েছেন বিলপাড়ের মানুষ।

পঞ্চাশোর্ধ স্থানীয় বাসিন্দা কামাল মিয়া। তিনি একজন প্রান্তিক চাষী। এখন তিনি দর্শনার্থীদের নৌকায় চড়িয়ে বিলের ফুল দেখান।

কামাল মিয়া হ্যালোকে বলেন, "রোজই সকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মানুষ বিল দেহনের লাইগ্যা আইতাছে। আমরাও তাদেরকে বিল দেহাইতাছি। জনপ্রতি ৫০ ট্যাহা কইরা নেই। আমরার ভালোই আয় অইতাছে।"

প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য রক্ষা ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায়, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করে প্রশাসন।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার হ্যালোকে বলেন, "হাওরাঞ্চল অধ্যূষিত নেত্রকোণা জেলা। এই জেলায় মনোমুগ্ধকর শাপলা ও পদ্ম বিল রয়েছে। বিলে অসংখ্য মানুষ বেড়াতে যান। তাদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নেত্রকোণা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com