প্রায় ৪০ বছর ধরে পথে পথে ঘুরে বায়োস্কোপ দেখাচ্ছেন ঝিনাইদহের বাসিন্দা ওলিয়ার বিশ্বাস।
প্রতিদিনই এই জাদুর বাক্স নিয়ে তিনি ছুটে যান দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ছন্দের তালে তালে সুর করে গল্প বলে চলেন তিনি, সঙ্গে একের পর এক দৃশ্যপট বদল হয় বায়োস্কোপের ভেতরে।
তার সুর করে বলা গল্প আর নানা দৃশ্যে বিমোহিত শিশুরা চোখ সরাতে পারে না কাঠের বাক্স থেকে। খঞ্জনি আর ছন্দের তালে বাক্সের ভেতর পাল্টে যাওয়া ছবি দেখে যেন ক্ষণিকের জন্য হলেও গল্পের জগতে হারিয়ে যায় শিশু কিশোর, এমনকি বড়রাও।
তবে এখন আর আগের মতো আয় হয় না তার৷ তবুও গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের একটি অংশকে এখনও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন ওলিয়ার বিশ্বাস।
এক সময় এটি শিশু কিশোরদের কাছে সিনেমা হল কিংবা টেলিভিশনের মতো ছিল। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এই ব্যবসায় আর কতদিন টিকে থাকা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান এই বায়োস্কোপওয়ালা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: খুলনা।