নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন দিনভর মুখরিত থাকে পাখির কলতানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে গাছপালা থাকায় পাখিরা অভয়ারণ্য তৈরি করে নিয়েছে। বাসভবনের চারদিকে শত শত কালো রঙের পানকৌড়ির উড়াউড়ি দেখা যায়। কিচির মিচির শব্দ আর মা পাখি ছানাকে খাইয়ে দেওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন অনেকেই।
ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দলে দলে এসব পাখি উড়ে গিয়ে হাওরের মিঠা পানিতে বসে। খাবারের সন্ধানে পানিতে দাবিয়ে বেড়ায় দিনভর। বিকেল গড়াতেই পাখিগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ফিরে আসে এই বাসভবনে।
স্থানীয়রা বলছেন, পাখিগুলো এখন তাদের আনন্দের খোরাক জোগায়। ছয় মাস আগে পাখিগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গাছে আশ্রয় নেয়। হাজারো পানকৌড়ি তাদের নিরাপদ আবাস হিসেবে বেছে নিয়েছে এই বাসভবনটিকে। পাখির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভিড় জমায় হাওরপারের উৎসুক মানুষ।
এ বিষয়ে কথা হয় খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমার সঙ্গে।
তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাখিদের বাড়তি কোনো খাবার দিতে হয় না। হাওরের প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে, নিরাপদেই থাকছে পাখিগুলো।“
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: নেত্রকোণা।