নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরশহরের সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হয়ে গেল ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রদর্শনী।
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের একটি বাস শিক্ষার্থীদের সামনে স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করে। এরপর শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেওয়া হয় ‘প্রবন্ধ লেখা’। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন পরিচিত এমন কারো কাছে ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি শুনে একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে, যা পরে বই আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়।
প্রদর্শনীতে আসা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও একটি মুক্তিযুদ্ধের অ্যালবাম প্রদান করা হয়।
মস্তুফা জান্নত প্রিয়ন্তী নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এই প্রদর্শনী প্রসঙ্গে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিল, “মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু ভিডিও দেখলাম। ভিডিওগুলো দেখে মনে হয়েছে যেন আমি নিজেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেছি। কয়েকজনতো কান্নাই করে দিছে। এত কষ্ট, বাচ্চাদের যে কষ্ট, নারীদের যে কী কষ্ট! শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখলাম।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান বাঙ্গালী ‘হ্যালো’কে বলেন, “জাদুঘরের বাসটি আসার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। তারা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে জানার জন্যে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে অনেক তথ্য নোট করেছে। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা বা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনে লিখবে। পরে এই লেখাগুলো ছাপা হবে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নতুন প্রজন্ম জানবে।”
ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা মো. হাকিমুল ইসলাম ‘হ্যালো’কে বলেন, “স্বাধীনতার পরে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ ছিল না। পরবর্তীতে ৯৬ সালে আট জন ট্রাস্টি মিলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন যাতে সারা বাংলাদেশের মানুষ, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে জানতে পারে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: নেত্রকোণা।