মোখা: সাতক্ষীরায় আশ্রয়ণ ঘর সংস্কারের দাবি

"যখন বাতাস আসপে তখন বাচ্চা নিয়ে কোতায় যাব আমরা।"
মোখা: সাতক্ষীরায় আশ্রয়ণ ঘর সংস্কারের দাবি

ঘূর্ণিঝড় মোখা আসার খবরে সাতক্ষীরা উপকূলের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা নিজেদের জরাজীর্ণ ঘর নিয়ে শঙ্কায় দিন পার করছেন।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিন শেডের ঘরগুলো মরিচা ধরে ভেঙে গেছে। কোথাও ছিদ্র হয়ে গেছে। কনক্রিটের পিলারের পলেস্তারা খসে পড়েছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত হানার পর সরকার এই ঘরগুলো নির্মাণ করে দুর্গতদের পুনর্বাসন করে। কিন্তু এখন সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে আশ্রয়ের ঘরগুলো।

স্থানীয় এক নারী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিল, "ঝড় আসতেছে। আমাদের এই ঘর-বাড়ির অবস্থা তো ভালো না। আর এই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া আমরা কোতায় যাব। আমাদের যদি ঘরডা মেরামত করে দিত তাইলে ভালো অইতো। এই এতগুলা বাচ্চা, যখন ঝড় আসে তখন তো আমরা নিয়ে যাতি পারি না। আশ্রয়কেন্দ্র তো অনেক দূরে।"

তিনি আরো বলেন, "এই যে আমাদের যে ঘরটা কাগজ দিয়ে ছাওয়া। এই ঘরে তো আমরা বাচ্চা নিয়া দাঁড়াইতে পারব না, বাতাসের কারণে। যখন বাতাস আসপে তখন বাচ্চা নিয়ে কোতায় যাব আমরা।"

ময়না বিশ্বাস নামে আরেক নারী বলেন, "আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর চাল-টাল কিছুই নেই। আমরা বার বার এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছি বা চেয়ারম্যানরে জানাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পরিস্থিতি হয়নি।"

আরেক নারী বলেন, "আমি তোমাদের একটাই অনুরোধ করি আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পটা যেন সোজা (ঠিক) হয়ে যায়।"

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব সাতক্ষীরায় কেমন হতে পারে তা জানতে সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপনের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

তিনি বলেন, "এ দূর্যোগের ভয়াবহতা অনেক। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিমউপকূল দিয়ে ‘মোখা’ প্রবাহিত না হলেও এই উপকূলে থাকবে তার শক্তিশালী প্রভাব। ফলে জলোচ্ছ্বাস ও অতি জোয়ার সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে গেছে।"

উপকূলের বাসিন্দাদের দাবির প্রসঙ্গে কথা হয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফের সঙ্গে।

তিনি হ্যালোকে বলেন, "সাতক্ষীরা জেলা উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত প্রস্ততি থাকার পরও যে কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।"

অর্থাভাবে আশ্রয়ণের ঘরগুলো সংস্কার করতে না পারার কথা জানান তিনি। আশ্রয়ণের এই মানুষদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি থাকলে এ অসুবিধা দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: সাতক্ষীরা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com