'গৃহিনী থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন রওশানারা বেগম নামের বাগেরহাটের এক নারী। তিনি এখন জেলার সদর উপজেলার নোনাডাঙ্গা গ্রামে থাকেন। গেল পাঁচ বছরে তিনি একে একে শুরু করেছেন সবজি, মাছ ও মুরগির চাষ।'
Published : 27 Dec 2023, 05:00 PM
গৃহিনী থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন রওশানারা বেগম নামের বাগেরহাটের এক নারী। তিনি এখন জেলার সদর উপজেলার নোনাডাঙ্গা গ্রামে থাকেন। গেল পাঁচ বছরে তিনি একে একে শুরু করেছেন সবজি, মাছ ও মুরগির চাষ।
রওশানারা হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার স্বামী জেলা শহরে সড়কের পাশে একটি ভাড়া নেওয়া মুদি দোকান চালাত। কিন্তু সড়ক প্রশস্তের কাজ শুরু হলে তাকে দোকানটি ছেড়ে দিতে হয়। একমাত্র আয়ের উৎস খুইয়ে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। এরপর রওশানারা সিদ্ধান্ত নেন নিজেই কিছু করার।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রওশন আরা বলেন, "দশ বছর আগে বিশটি মুরগি নিয়ে খামারের কাজ শুরু করে এই জায়গায় এসেছি। মুরগির ডিম বাজারের পাশাপাশি বাড়ি থেকেও বিক্রি হয়।"
রওশনারা পুকুরেও নানা জাতের মাছ চাষ করেন। এ বিষয়ে হ্যালোকে তিনি বলেন, "পুকুরেও বিভিন্ন জাতের মাছ আছে। তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, সিলভার কাপ ও পুটিমাছ।"
রওশানারা জানান, তিনি এখন একজন স্বাবলম্বী নারী। স্বামীর কাছে তাকে কোনো টাকা চাইতে হয় না।
নারীরাও যে পরিবারের কর্তা হয়ে উঠতে পারে তার উদাহরণ রওশানারা। তাকে দেখে প্রতিবেশিরাও ‘নিজেই কিছু করতে’ অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
রওশানারার এক প্রতিবেশি হ্যালোকে বলেন, "প্রথমে দশটি মুরগি দিয়ে আরম্ভ করে রওশানারার মুরগির সংখ্যা এখন আড়াইশোর উপরে। সে খুবই কর্মঠ ও সাংসারিক। মুরগির পাশাপাশি মাছ ও সবজির চাষ করে সে। তার স্বামী ও মেয়ে তাকে এই কাজে সাহায্য করে।"
আরেক প্রতিবেশি বলেন, "আগে আমাদের বাসায় মেহমান আসলে দৌড়ে বাজারে যেতে হতো। এখন আমরা রওশানারা কাকীর বাসা থেকেই মাছ, মুরগি ও ডিম সংগ্রহ করতে পারি।"
রওশানারা তার আয়ের টাকা দিয়ে আরও বড় করতে চান ক্ষেত-খামার। তিনি মনে করেন, মন থেকে চাইলে সবই সম্ভব।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।