ভালো নেই বাঁশ-বেত শিল্পের কারিগররা (ভিডিওসহ)

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি সহযোগিতা ও স্বল্প সুদে ঋণ দিতে হবে।

নানা সীমাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে পূর্বপুরুষদের পেশা টিকিয়ে রাখছেন বাঁশ-বেত শিল্পীদের অনেকে।

নেত্রকোণার সদর উপজেলার আমলি গ্রামের ৭০ পরিবার এখনো বাহারি নঁকশা আর সুক্ষ কারুকাজে বাঁশ ও বেতপণ্য তৈরি করেই জীবিকা নির্বাহ করছে। নানা সঙ্কট আর সীমাবদ্ধতায় এই পেশার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান তারা।

বাঁশ বেতের কারিগররা বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে বাপ-দাদার পুরাতন এই পেশাকে আগলে রেখেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। কাঁচামালের দুষ্প্রাপ্যতা ও আর্থিক সঙ্কট প্রকট হওয়ায় এই পেশায় টিকে থাকতে সমস্যা হচ্ছে তাদের।

একজন কারিগর হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাঁশের ঝাড় রাখছি, অনেক টেয়া পয়সা লাগে। আমরা আনতারি না। একটা দুইডা কইরা আইন্না কাম চালাইতাছি।”

আরেকজন কারিগর বলেন, “অহন কাঁচামাল বানায়া আমরার পোষে না। যার ফলে অনেকেই এই কাজ করতে গিয়া অনেক ঋণগ্রস্ত হইছে। ঋণগ্রস্ত হওয়াতে অনেকেই বাড়িঘর ছাইড়া দিছে।”

এদিকে ১৮ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান পাওয়া চারটি পরিবার বলছে, সরকারি সহায়তায় তারা পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে।

এক কারিগর হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারি সহযোগিতা পাওয়ায় আমাদের মাল কিনতে সমস্যা হচ্ছে না। এখন ব্যবসাও এগিয়েছে।”

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি সহযোগিতা ও স্বল্প সুদে ঋণ দিতে হবে।

নেত্রকোণা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক)  উপ-ব্যবস্থাপক মো. আক্রাম হোসেন হ্যালোকে বলেন, “এ শিল্পে নিয়োজিতদের নিয়ে ডাটাব্যাজ তৈরির কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তা সম্পন্ন হবে। পরে আগ্রহীদের মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ কার্যক্রম চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।“

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: নেত্রকোণা। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com