বাড়িতে 'চুরির ভয়ে' আশ্রয়কেন্দ্রে যান না অনেকে

যদি মালামাল সব যায়, আইয়া কী খামু। বাঁইচা থাইকা লাভ কী।
বাড়িতে 'চুরির ভয়ে' আশ্রয়কেন্দ্রে যান না অনেকে

ফাইল ছবি

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাঠাকুরপাড়া গ্রামের সাইক্লোন সেন্টারে রাত নয়টা পর্যন্ত কোনো মানুষ এসে আশ্রয় নেয়নি।

আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে সাইক্লোন সেন্টারের নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ মনির হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রস্তুত রাখা হলেও আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ উপস্থিত হয়নি।

৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থাকা সত্ত্বেও আশ্রয়কেন্দ্র না যাওয়ার কারণ জানতে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।

রত্তন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বলেন, "কখনও আশ্রয়কেন্দ্র যাইনি। ঘর বাড়ি ছাইড়া, মালামাল রাইখা যাওয়া অসম্ভব। যদি মালামাল সব যায়, আইয়া কী খামু। বাঁইচা থাইকা লাভ কী। মরলে সবাই ঘরে বসে এক সঙ্গে মরব।"

বাদল জোমাদ্দার নামের আরেক ব্যক্তি হ্যালোকে বলেন, "ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলে মাঝেমধ্যে সাইক্লোন সেন্টারে যাই, আবার যাই না। এলাকায় জনসংখ্যার তুলনায় সাইক্লোন সেন্টারে জায়গা খুবই কম। গেলে গাদাগাদি হয়।"

আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই আসতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় আরেক নারী।

মোসা. বেবী নামের এই নারী বলেন, "বন্যা (ঘূর্ণিঝড়) দেখলে আমরা সাইক্লোন শেল্টারে যাই, বসার জায়গা পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে দাঁড়িয়ে থাকি। আবার কখনও বসার জায়গা পাই। ফ্যামিলিসহ সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়া যায় না। চুরির ভয় থাকে। ঘর চুরি হয়ে যায়। অনেকে চুরির কারণে বাসা থেকে কোথাও যায় না। "

মো. আলী হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, "আমাদের এলাকায় আট নম্বর মহাবিপৎসংকেত থাকলেও আবহাওয়া এখন পর্যন্ত শান্ত আছে। যদি দেখি আবহাওয়া ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাইতেছে তখন অবশ্যই সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নিব।"

এই আশ্রয়কেন্দ্রটির জমি দাতা সদস্য অং সেন ওয়েন হ্যালোকে জানান, ২০০৭ সালের সিডরের পূর্বে কেউ সাইক্লোন সেন্টারে আসত না। সিডরের পর মানুষ বুঝতে পেরেছে ঘূর্ণিঝড় কতটা ভয়াবহ। এখন দুর্যোগ আসলেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নেয়। জনসংখ্যা অনুযায়ী সাইক্লোন সেন্টারে জায়গা খুবই কম।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com