“মেয়েটার পড়াশোনা করার অনেক ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমি মাইয়া মানুষ বলে আর পড়তে দেইনি।”
Published : 14 Mar 2024, 06:00 PM
চৌদ্দ বছর বয়সেই বাল্যবিয়ের শিকার হয় কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের এক কিশোরী। বিয়ের তিন বছরের মাথায় দুই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকে তিনি এখন নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার বয়স এখন ২৫।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনাও থেমে যায় তার।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাকে এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়ায়, আমি অনেক সমস্যায় ভুগছি। আমি চাই না আমার মতো আর কোনো মেয়ের এত তাড়াতাড়ি বিয়ে হোক।”
অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার ভুল বুঝতে পেরেছেন কিশোরীর বাবা। ছোট দুই মেয়েকে এখন আর অল্প বয়সে দিতে চান না তিনি।
হ্যালোকে তিনি বলেন, “মেয়েটার পড়াশোনা করার অনেক ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমি মাইয়া মানুষ বলে আর পড়তে দেইনি।
“বিয়ার পর আমার বড় নাতিটা যখন হলো তখন থেকে আমার মাইয়াটা অনেক অসুস্থ। এই বয়সে আমার মাইয়াটা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার আরও দুইটা ছোট মাইয়া আছে। আমি তাদের আর ছোটতে বিয়ে দিব না। তাদের অনেক পড়ামু।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুড়িগ্রাম।