বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরী ফিরল স্কুলে

বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরী ফিরল স্কুলে

‘ওই কিশোরী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, শিক্ষা জীবন ফিরে পেয়ে সে বেশ উচ্ছ্বসিত। বড় হয়ে সে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।‘

সাতক্ষীরায় বাল্যবিয়ের ঘটনায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া এক কিশোরী আবার স্কুলে ভর্তি হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাকে আবার পড়াশোনার সুযোগ করে দেয় পরিবার।

জেলার সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বাড়ি। সে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন তাকে বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়। কৃষক বাবা দরিদ্রতার কারণে তার বিয়ে দিয়ে দেন।

ওই কিশোরী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, শিক্ষা জীবন ফিরে পেয়ে সে বেশ উচ্ছ্বসিত। বড় হয়ে সে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

সে বলছিল, “এখন আমার পড়াশোনায় মন বসে গেছে। বড় হয়ে আমি একজন সৎ মানুষ হতে চাই। আর আমি যেন সবার চিকিৎসা করতে পারি।”

কিশোরীর বাবা জানান, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।

তিনি হ্যালোকে বলেন, “অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এখন আমি ভুল বুঝতে পারছি।“

তিন সন্তানের এই বাবা আরও জানান মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়া তার বড় একটি ভুল ছিল। তিনি মেয়েকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বাল্যবিয়ে প্রসঙ্গে যামিনী কুমার দেবনাথ নামে তাদের এক প্রতিবেশী বলেন, “অল্প বয়সে যেন আর কোনো মেয়ের বিয়ে না হয়।“

ওই কিশোরীর এক সহপাঠী হ্যালোকে বলে, “শ্বশুর বাড়িতে তাকে অধিকার দেওয়া হতো না। কিন্তু সে এখন পড়াশোনায় ফিরে এসেছে।“

সচেতন মহল বলছে, সরকারের একার পক্ষে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব না। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমান হ্যালোকে বলেন, “বাল্যবিয়ে কখনোই ভালো কিছু না। অভিভাবেকেরা না বুঝে এসব করেছে।“

শামসুর রহমান নামের স্থানীয় এক কাজী হ্যালোকে বলেন, “কিছু ভুয়া কাজী আছে তাদের মাধ্যমে ও নোটারীর মাধ্যমে এই ধরনের বাল্যবিয়ে হয়। আমি এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।”

প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: সাতক্ষীরা।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com