
ছবি: ইউনিসেফ
জন্মের প্রথম ঘণ্টায় মায়ের বুকের দুধ খেতে পায় না অর্ধেকের বেশি নবজাতক, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই মাতৃদুগ্ধ সহায়তায় বিশ্বের সরকারগুলোকে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
’শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য এগিয়ে আসুন: শেখান এবং সহযোগিতা করুন’- প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ।
এ উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু বৈশ্বিক নানা সংকট লাখ লাখ শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য অব্যাহত ভাবে হুমকি তৈরি করে চলেছে, তাই জীবনে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো শুরু হিসেবে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর অপরিহার্যতা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ইউক্রেন, হর্ন অব আফ্রিকা ও সাহেলসহ যে সব অঞ্চলে জরুরি পরিস্থিতি বিদ্যমান সেখানে নবজাতক ও ছোট শিশুদের নিরাপদ, পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাদ্যের উৎসের নিশ্চয়তা দেয় বুকের দুধ।
মাতৃদুগ্ধ নবজাতকের প্রথম টিকা হিসেবেও কাজ করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তা সত্ত্বেও মায়ের মানসিক বিপর্যস্ততা, শারীরিক ক্লান্তি, নিজের জন্য আলাদা জায়গা ও গোপনীয়তার অভাব এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ভালো স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিশু বুকের দুধ খাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; যদিও ওই দুধ তাদের বেঁচে থাকায় সহায়তা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, জন্মের প্রথম ঘণ্টাতেই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধই খাবে শিশু, এমনকি পানিও খাওয়ানো যাবে না। এরপর পরিপূরক খাদ্যের সঙ্গে অন্তত দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে।
শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়ানোকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি। এখন মাত্র ৪৪ শতাংশ শিশুকে জীবনের প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়ানো হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।