গণপরিবহনে ভোগান্তির শেষ নেই নারীদের

বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন ও টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন।
গণপরিবহনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসন রয়েছে। কিন্তু বাসে উঠতে চাইলে অনেক সময়ই এভাবে হাত নেড়ে ‘সিট নাই’ বলা হয় নারীদের।

গণপরিবহনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসন রয়েছে। কিন্তু বাসে উঠতে চাইলে অনেক সময়ই এভাবে হাত নেড়ে ‘সিট নাই’ বলা হয় নারীদের।

ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

গণপরিবহনে চালক, সহকারী ও অন্যান্য পুরুষ সহযাত্রীদের দ্বারা অসদাচরণ, কটূক্তি ও যৌন হয়রানির বিষয়ে নারীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন। কখনো ওঠে আসে ভয়ানক পাশবিক নির্যাতনের খবরও।

অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ আর বাজে ভাষায় নারীদের আক্রমণ তো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা!

গণপরিবহনে নিয়মিত চলাচল করেন এমন কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা বলেছে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক।

সুমাইয়া খানম একজন কর্মজীবী নারী। তিনি প্রতিদিন বাসে করেই তার কর্মস্থলে যাতায়াত করেন।

তিনি বলছিলেন, “বাসে যদিও নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সেসব সিটে পুরুষ যাত্রীরা বসে যাচ্ছেন। কখনো কখনো যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু এসবের প্রতিবাদ করতে তেমন কেউ এগিয়ে আসে না বলে অপরাধগুলো আরও বাড়ছে।“

জেসমিন আক্তার একজন শিক্ষার্থী। কলেজ থেকে বাসার দূরত্ব বেশি হওয়ায় বাসেই যাতায়াত করে সে।

জেসমিন বলে, “প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলন্ত বাসে উঠা-নামা করতে হয়। বাসের কিছু কিছু হেলপারের আচরণ খুবই খারাপ লাগে। বাসে উঠার সময় তারা দরজার সামনে এমনভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যে একা একা বাসে উঠা সম্ভব হয় না। সে সামনে থেকে সরে না গিয়ে উল্টো আমার দিকে হাত এগিয়ে দেয়। কিন্তু বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে কেউ আমার পক্ষে এগিয়ে আসেনি বরং আমাকেই থামতে বলেছে।“

এরকমই আরও একজন নারী শাহিনা আক্তার।

সবাই একই রকম আচরণ করে না জানিয়ে তিনি বলেন, “একা যাতায়াতের সময় পাশের সিটে বসা যাত্রীর কাছ থেকেও মাঝে মাঝে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। যদিও সবাই এমন না। অনেকেই আছেন যারা নারীদের যথেষ্ট সম্মান করেন। কেউ কেউ বাসে দাঁড়িয়ে যেতে দেখলে নিজে সিট ছেড়ে দিয়ে বসতে দেন।“

‘জনস্থানে নিরাপত্তা ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক একটি অনলাইন জরিপ থেকে জানা যায়, বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন ও টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন।

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com