ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ: ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আতঙ্ক কলাপাড়ার উপকূলে
প্রায় ১৬ বছর হলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপকূলীয় নীলগঞ্জ ইউনিয়নে সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের টেকসই সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়নটির মানুষের মাঝে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে নীলগঞ্জের বেড়িবাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এত বছরেও সেটার সব জায়গা সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই বেড়িবাঁধটির অধিকাংশ জায়গা অরক্ষিত হয়ে রয়েছে।
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের পাশে বসবাস করা এক শিশু হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "আমরা খুব ভয়ের ভিতরে আছি। আমাদের রাস্তাটা একটু বাইন্দা দেন।"
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, "নদীর কাছেই আমাদের বাড়ি। সিডরের সময় বেড়িবাঁধের উপর থেকে পানি আসায় আমরা বটগাছে উঠে রইছি। বন্যার কথা শুনলে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধের ভয়ে রাতে ঘুম আসে না।"
কথা হয় আরেক কিশোরীর সঙ্গেও। সে বলে, "আমাগো বেড়িবাঁধ ভাইঙ্গা গেছে। বেড়িবাঁধের পাশে আমাদের বাসা। বন্যার (ঘূর্ণিঝড়) কথা শুনলে আমরা অনেক ভয়ে থাকি। আমাদের রাস্তার (বেড়িবাঁধের) উপর থেকে পানি গড়াইয়া পরে।"
এলাকাবাসী জানায়, সিডর, আইলা, মহাসেন, বুলবুল, আম্পান ও ইয়াসের মতো ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত আঘাত হানে এখানে। এতে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়৷
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।