সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নদীটি খালে পরিণত হয়েছে। কেউ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই এটি একটি নদী।
এ ব্যাপারে নদী তীরবর্তী মির্জাপুর গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
স্থানীয়রা জানান, এই নদীতে জেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলায় পানিতে দুর্গন্ধ হয়ে সেটা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এই দূষিত পানি ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন।
গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন্দ্র চন্দ্র জানান, তারা আগে নদীর পানি দিয়ে চাষবাসসহ গৃহস্থলীর নানা কাজ করতেন। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
ধীরেন্দ্র চন্দ্র পেশায় একজন জেলে।
এক সময় এই নদীতে মাছ ধরে জীবন ধারণ করতেন। নদী নির্ভর ছিল তাদের জীবিকা। কিন্তু এখন নদীতে কোনো মাছ নেই, জানান তিনি।
তিনি বলেন, "নদীতে পানি নেই, যা আছে সব কারখানার আবর্জনা।
"মাছ থাকবে কীভাবে?"
কথা হয় মাঝি আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি নৌকা চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতেন। কিন্তু তার কাজেও এখন ভাটা পড়েছে।
এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলার উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানার সঙ্গে।
তিনি বলেন, কলকারখানা ও সুয়ারেজের বর্জ্য নদীতে মিশে পানিকে দূষিত করছে। আরও অনেক কারণেই পানি দূষিত হচ্ছে। নদীর গভীরতা কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়া নদীতে কোনো স্রোত নাই। স্রোত না থাকায় বর্জ্যগুলো কোথাও যেতে পারে না। এতে করে পানি আরও দূষিত হচ্ছে।
এজন্য দায়ী কলকারখানাগুলোকে মনিটরিং করে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "সীমিত জনবলে আমাদের অধিদপ্তর থেকে যতটুকু করা সম্ভব তাই করা হচ্ছে।
বর্জ্যগুলো কতদিন ধরে পড়ছে, ক্ষতির মাত্রা কতটুকু এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কারখানা মালিকদের জরিমানা করা হয়। গত মাসেও নয়টি কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।