কিশোরগঞ্জে সদ্য ফসল কাটা এক হাওরে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাগ নিয়ে ছুটে চলেছে শিশুরা। জমিতে পড়ে থাকা ধান কুড়িয়ে তারা ব্যাগে ভরছে। অনেকে দা-কোদাল দিয়ে ইঁদুরের গর্ত থেকেও ধান সংগ্রহ করছে।
মেরাজ নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশু হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “বাবা গ্যারেজের দোকানে কাজ করে, মা অসুস্থ। তাই তিন বছরের ছোট ভাই আয়ানকে নিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা ধান কুড়াতে এসেছি।”
সে জানায়, প্রতিদিন চার-পাঁচ কেজির মতো ধান কুড়ানো যায়। যা ৭০-৮০ টাকা বিক্রি করে সে। আবার এই ধান ভাঙিয়ে চাল করেও সেটা রান্না করে খায় তারা।
মেরাজের বন্ধু ইমন (১৩) বলছিল, “বাবা ঢাকায় রিকশা চালায়, বাড়তি আয়ের উদ্দেশ্যে মানুষের জমিতে ধান কাটা শেষ হলে কিছু ধান মাটিতে পড়ে থাকে সেগুলো আমরা কুড়াই। পরে বিক্রি করে পরিবারকে দেই। কয়েক দিন আগে খাতা কলম কিনেছি সাথে একটি নতুন জামাও কিনেছি।”
কাউছার আহমেদ নামে হাওরে বড় হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধান কুড়ানো আমাদের হাওরে নতুন কিছু নয়। শত শত শিশু রোদের মধ্যে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে ধান কুড়ায়। মাটিতে পড়ে থাকা ধান কৃষকরা সংগ্রহ করেন না তাই শিশুরা এই ধান কুড়িয়ে থাকে।”