সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের কয়েক গজের মধ্যে পাথর ভাঙার মেশিন বসানো হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া বলে, “ শব্দের কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। ম্যাডাম কী বলেন তা শোনা যায় না।”
পাথর ভাঙার সময় ধুলিকণা উড়ে আসে বলে জানায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন। সে বলে, “শব্দ আসে মেলা। আরো নাকে-মুখে বালু যায়।"
একই অভিযোগ করে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া লাবণীও।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হাসানাতুল আরেফিন হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,"তীব্র শব্দের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষে আমরা যা বলি বাচ্চারা তা শুনতে পায় না।
“শব্দ দূষণ এবং বায়ু দূষণ দুটোই আমাদের সমস্যার কারণ। আমরা খুব দ্রুত এর প্রতিকার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ হালকা বৃষ্টি হলেই পানি এবং কাদামাটিতে ভরে থাকে। যার ফলে শিশুরা খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা তাদের মানসিক বিকাশে বাধা দিচ্ছে।”
পাথর ভাঙার মেশিনের শব্দ শিক্ষার্থীদের যেমন লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তেমনি ভাঙা পাথরের ধুলিকণা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান বায়েজিদ হাসান প্রামানিক নামের এক চিকিৎসক।
তিনি বলেন, “এমনিতেই বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তুলনা মূলক ভাবে ফুসফুসের প্যারেনকাইমাল অসুখ অনেক বেড়ে গেছে।
“যেখানে পাথর ভাঙার কাজ চলে সেখানের বাতাসে সবচেয়ে ক্ষতিকর পদার্থ হচ্ছে খালি চোখে দেখা যায় না পাথরের এরকম কণা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তো আছেই।
“তবে পাথরের আণুবীক্ষণিক কণাগুলো অনেকটা গ্রেনেড প্যালেটের মতো কাজ করে। এগুলো খুব সহজেই ফুসফুসের এলভিওলাস তথা প্যারেনকাইমা ধ্বংস করে ফেলে। যার ফলে এম্ফাইসেমা, ফাইব্রোসিস, সিলিকোসিস, এসবেস্টোসিস, নিওমোকোনিওসিস, সারকোসিস নামের অসুখের পরিমাণ বেড়ে যায়।”