আতিয়া নুসরাত নামে রাজধানীর মণিপুর স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, "শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের কাছ থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জন করা যায় যা বাসায় সম্ভব না। বর্তমানে আমরা জ্ঞান স্বল্পতায় ভুগছি, যার প্রভাব পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় পড়বে।"
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে পড়ে মো. জিহাদ।
সে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিল, "আমরা স্কুলে গেলে কিছুটা অন্তত জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করা হয় যা বাসায় সম্ভব না। করোনাকালীন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেকেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছি। যার প্রভাবে আমাদের জ্ঞানের ঘাটতি রয়ে গেছে।"
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে অনেক শিশুই পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েছে।
২০২০ সালের মার্চে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “গত দুই বছর তাদের পড়াশোনায় অনেক বিঘ্ন ঘটেছে। অনেকে পারিবারিক-সামাজিক এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে।
“শিক্ষার্থীদের যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে নজর দেব বেশি। হয়ত এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ করতে পারব না। কিন্তু আমরা আশা করছি এই শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যতটুকু ঘাটতি রয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে পারব।”