শিশুরা শ্বাস নেবে কোথায়?

সম্প্রতি ঢাকার কলাবাগান তেঁতুলতলা খেলার মাঠে পুলিশের থানা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এ জায়গা শিশুদের খেলার জন্য থাকবেই। তবে এ ঘটনার পর আলোচনায় এসেছে শিশুদের বিনোদনের জায়গার অপর্যাপ্ততা।
শিশুরা শ্বাস নেবে কোথায়?

ঢাকার অন্যতম বড় মাঠ পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠ। প্রায় এক যুগ আগেই খেলার উপযোগিতা হারিয়েছে মাঠটি। ফ্লাইওভারের নির্মাণ সামগ্রী এ মাঠে রাখা হয়েছিল। এর ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মাঠটি। পুরো মাঠ জুড়ে ছিল কংক্রিট-ইট-পাথরের সুড়কির স্তূপ। ছোট-বড় গর্ত তো আছেই। বর্তমানে সেখানে একটি বিপণি বিতান নির্মাণের কাজ চলায় এখনো বন্ধ মাঠটি।

খিলগাঁওয়ের জোড়পুকুর মাঠ সংস্কারের পর এখন সবাই সব সময়  ঢুকতে পারে না বলে জানিয়েছে সেখানকার এক কিশোর। সে জানায় প্রায়ই বিভিন্ন ক্লাবের প্র্যাকটিসের কারণে মাঠ বন্ধ থাকে, আগের মতো যখন-তখন গিয়ে খেলা যায় না।

মাঠের অভাব নিয়ে ডেমরার বাসিন্দা নাজমুল হাসান সিফাত বলে, “আমার বয়স ১৪। আমি মাঠে গিয়ে খেলতে চাইলেও আমাদের এলাকাতে তেমন মাঠ নেই। একটি থাকলেও সেখানে ভালো করে খেলা যায় না। একটি মাঠ হওয়ায় সেখানে শিশু-কিশোরদের ভিড়ও থাকে অনেক।”

তবে বনশ্রীর নেওয়াজ নামের আরেক কিশোর জানায় তার এলাকায় খেলার মাঠ রয়েছে। তাই অবসরে মাঠে খেলাধুলার সুযোগ পায় তারা যা তাদের বেশ আনন্দ দেয়।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউব অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)- এর করা জরিপ অনুযায়ী ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের ৯২ ওয়ার্ড মিলিয়ে মাঠ আছে ২৩৫টি। ২৩৫ মাঠের মাঝে অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোনো কলোনীর। মাত্র ৪২টি মাঠ সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। সরকারি ১৬টি মাঠ দখল হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠগুলোতে দেখা যায় অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান বা সমাবেশের জন্যও এসব মাঠ ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া শিশুদের বিনোদনের অন্যতম জায়গা জাতীয় শিশু পার্ক বন্ধ হয়ে আছে প্রায় তিন বছর। উন্নয়নের কাজ চলছে সেখানে। এমন অবস্থায় বিনোদনের জায়গা নিয়ে শঙ্কিত শিশু-কিশোররা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com