
বড় দেশগুলোর নানা নানা দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড বিপদ তৈরি করছে ছোট দেশগুলোর জন্য। তাদের শিল্প কারখানার বর্জ্য কিংবা পরিবেশ দূষণের নানা প্রভাব আমাদের উপরও পড়ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য নষ্ট করছে সাগরের পানি, জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদদের।
২০২১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যে গ্লাসকোয় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম লিডার্স ডায়ালগ : ফোর্জিং এ সিভিএফ-কপ-২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
বিশ্বে যে দেশগুলো কার্বন নির্গমন বেশি করছে, ক্ষতি প্রশমনে তারা প্রতিশ্রুতি না রাখায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো যে বিপদে পড়েছে, তা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার্বন নিঃসরণকারী গুরুত্বপূর্ণ উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত তহবিল না দেওয়ায় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
“এটা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক পরিণতি মোকাবেলায় আমাদেরকে নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বেশ কিছু আর্থ-সামজিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের বেশিরভাগই নারী এবং মেয়ে শিশু।
“জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তাদের (নারী) দুর্বলতা মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মহিলাদের জন্য অবস্থান তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।”
নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেক সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই এবং তারা প্রায়ই স্বল্প বেতনের এবং অবৈতনিক চাকরি ও কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে।
“এ সব কারণে নারীদের ওপর পুরুষদের তুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বেশি পড়ে।”
বিশ্ব মঞ্চ আমাদের কতটুকু কথা শুনবে তা হয়ত জানা নেই। তবে আমাদেরকে আমাদের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদেরও সচেতন হতে হবে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমাদের সামনে আগাতে হবে। এই বিপর্যয় না ঠেকাতে পারলে প্রকৃতির বিরুপ আচরণে ভয়াবহ হুমকিতে পড়বে আমাদের দেশ।