'বাচ্চা কাঁদলে আমার বিরক্ত লাগত'

বাল্যবিয়ে জীবনকে বিষিয়ে দিয়েছিল পারভিন আক্তারের। শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতার জন্য তাকে করতে হয়েছে লড়াইও। মাত্র ১০/১১ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ায় জীবনের মানে বোঝার আগেই কাঁধে এসে পড়ে সংসারের দায়িত্ব।
'বাচ্চা কাঁদলে আমার বিরক্ত লাগত'

এখন তিনি মধ্যবয়স্ক একজন নারী। থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান এই বিয়ের পর তার সময়গুলো কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল।

তিনি বলেন, নিজেই যখন শিশু তখন তিনি জন্ম দেন আরেক শিশুর। বিয়ের পরও স্বামী-সংসারের দেখভালের বদলে ছোটদের সাথে খেলাধুলা করতেই তার বেশি ভাল লাগত। 

পারভিন বলছিলেন, “শিশু সন্তানের কান্নায় মা যেখানে অস্থির হয়ে যায়, সেখানে আমার বিরক্ত লাগত। কিন্তু এই অনুভূতিটাই উল্টে যায় পূর্ণ বয়সে যখন আমি আবার মা হই তখন।”

তিনি জানান, শিশু বয়সে বিয়ে ও মা হওয়ার কারণে সন্তানের সঠিক যত্ন নিতে পারেননি তিনি। খোঁজ খবর নিতে পারেননি সন্তানের পড়াশোনারও। ফলে সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করার স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার। ছেলের জন্যও তাই আনতে পারেননি উচ্চ শিক্ষিত কোনো জীবনসঙ্গী।

পারভিন আরও জানান, কম বয়সী হওয়ায় সংসারের নানা জটিলতা বুঝতে পারতেন না, অশান্তি হতো। এরপর তিনি মা হয়ে যান কিছু বুঝে ওঠার আগেই। সন্তান জন্ম দিতে গিয়েও তিনি নানা জটিলতার মুখোমুখি হয়েছেন। 

আর্থিক সচ্ছলতা থাকার পরও শিক্ষা দীক্ষায় সামাজিকভাবে তার যে স্তরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ছিল বাল্যবিয়ে সেখানে যেতে দেয়নি। তাই নিজের মেয়েকে বাল্যবিয়ের কবলে পড়তে দেননি পারভিন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com