বগুড়া এডওয়ার্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বসে লেখাপড়া করছে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা। এই পার্কেই সংগঠনের সদস্যরা শিশুদের পাঠদান করে।
কথা বলে জানা যায়, তারা সকলেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু। সবাই এক সময় টোকাই, ভিক্ষাবৃত্তি বা শিশু শ্রমের সাথে জড়িত ছিল।
আলোর দিশারী পরিবারের সহকারী সম্পাদক আদিত্য কুমার বলেন, “আমাদের এখন শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাচ্চা আছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীও আছে। এই স্কুলের বাচ্চাদের দেখে বস্তির অনেক বাবা মা তাদের বাচ্চাদেরকেও এখন পাঠাচ্ছেন, এটাই আমাদের সফলতা।”
২০১৪ সালে মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ৬০ জন শিশু পড়তে আসে এখানে। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুদের বিকাশের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে থাকে সংগঠনটি।
শুভ্রা সাহা নামের এই স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, “খেলাধুলা, নাচ, গান এগুলো প্রোগ্রাম হয়, সেখানে শিশুরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বছরে দুইটি আয়োজন করি আমরা একটি শীত বস্ত্র বিতরণ আরেকটি পিঠা উৎসব।”
স্কুলটির নবম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বলে, “আমাদের ফ্যামিলিতে অর্থ সংকট থাকায় খাতা, কলম ইত্যাদি কিনতে অসুবিধা হতো। এখান থেকে আমাদের এগুলো দেওয়া হয়।”
চতুর্থ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, সপ্তাহে চারদিন আমাদের স্কুল হয়। স্যার, ম্যাডামরা খুব ভালোবাসেন। মাঝে মাঝে আমাদের নাস্তা দেয়।