প্রায় ২৫ একর জমির এই বগানটিতে প্রায় পাঁচশ’র বেশি গাছ রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার থেকে ১২’শ লিটার রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু রস বিক্রি হয় আর বাকি রস থেকে তৈরি হয় গুড়।
রস কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, “আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও। যদিও আমি এই বাগানের কথা জানতাম না। টেলিভিশনে দেখে এখানে এসেছি। রস খেয়েছি, এখানকার রস খুব ভালো।”
মনিরুজ্জামান মনির নামের একজন রস ব্যবসায়ী জানান, এখানকার গুড় এবং রসের প্রচুর চাহিদা। বাজারে নিতে হয় না, বাগান থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। অনেক সময় গুড় না পেয়ে ফেরতও যেতে হয় ক্রেতাদের। তিনি আরো বলেন, রস ভালো রাখতে এবং বাদুড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তারা প্রতিটি গাছে নেট লাগিয়ে দেন।
নাটোর থেকে আসা একজন গাছী বলেন, “আমরা ভোর ৩টায় উঠি, রস সংগ্রহ করি। জ্বাল দেই তারপর বিক্রি করি।”
বছরে চার মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতি লিটার খেজুর রস ১০০ টাকা দরে ও এক কেজি গুড় একশ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় এখানে।