মহামারিতে সারা পৃথিবী জুড়েই শিশুদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি শিশুর জন্য বাড়তি যত্ন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্ব নেতারা। কিন্তু আমাদের দেশের শিশুরা কি পাচ্ছে এই বাড়তি মনোযোগ?
এ বিষয়ে হ্যালো মুখোমুখি হয় বেশ কয়েকজন শিশুর। জানতে চায় তাদের পাওয়া না পাওয়ার কথা।
মহামারিতে ভোলা থেকে শিশু শিপনকে নিয়ে রাজধানীতে আসেন আসমা বেগম। নিজে ভিক্ষা করেন সোবাহানবাগ, ধানমণ্ডি এলাকায়। তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু পুত্র শিপন চকলেট বিক্রি করে ফুটপাতে।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চকলেট বিক্রি করতে চায় না সে, স্কুলে ভর্তি হতে চায়।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম নীরা পড়াশোনা করে রাজধানীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ যেন বন্ধ হয় এটা তার প্রত্যাশা।
মহামারি উত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সকল সুবিধা আশা করে সে। সে হ্যালোকে বলে, “আমি চাই টাকার অভাবে কোনো শিশুর পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়।”
মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকায় সংসারে সচ্ছলতা আনতে ঝুরিভাজা বিক্রি করে মজনু নামের আরেক শিশু। এটাকেই সে তার ভাগ্য বলে মেনে নিলেও মানুষের খারাপ ব্যবহার তাকে কষ্ট দেয় বলে জানাল।
সে হ্যালোকে বলে, “ ভালো ব্যবহার করলে ভালো লাগে আর খারাপ ব্যবহার করলে খারাপ লাগে।”
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে আরেফিন আদ্রিক। সে মনে করে মহামারি পরবর্তী সময়ে শিশুদের সমস্যা সমাধান করতে হলে শিশুদের কথাও শুনতে হবে বড়দের।
“আমি চাই আমার কথা বড়রা শুনুক।”
মহামারিতে আমাদের দেশে অনেক শিশু স্কুল ছেড়েছে ফলে শিশু শ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে বাল্যবিবাহের হার আর পথশিশুদের ভবিষ্যৎ কী সেকথা এখনো অজানা। এবারের আন্তর্জাতিক শিশু দিবস সকল শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে এটাই শিশুদের প্রত্যাশা।