সরেজমিনে কথা হয় স্কুলটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
জানা যায়, এই রাস্তায় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। ২০১৯ সালে পিইসির এক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। গত বছর এক শিক্ষার্থী এসাইনমেন্ট জমা দিতে এসে আহত হয়। এরপরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফি মল্লিক হ্যালোকে বলে, “সকালে যখন স্কুলে আসি তখন রাস্তা পার হওয়ার জন্য পাঁচ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। স্কুলের সামনের এই রাস্তায় একটা জেব্রা ক্রসিং হলে খুব ভালো হবে আমাদের।”
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত হ্যালোকে বলে, “আমাদের স্কুলের সামনের রাস্তায় যদি স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয় তাহলে খুব ভালো হবে।”
স্কুলের সামনের রাস্তাটি ভাঙা বলে অভিযোগ করে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম। সে হ্যালোকে বলে, “আমাদের স্কুলের সামনের রাস্তাটা যদি তাড়াতাড়ি ঠিক করে দেওয়া হয় তাহলে খুব ভালো হবে।”
স্কুলের ছুটির পর বাচ্চারা রাস্তা পার হতে নানা সমস্যায় পড়ে বলে জানান অশোক গোল্লার নামের একজন অভিভাবক।
তিনি বলেন, “এখানে একটা জেব্রা ক্রসিং হলে বাচ্চারা উপকৃত হত। আমরাও চিন্তামুক্ত হতাম।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জেব্রা ক্রসিং করার আশ্বাস দেন।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “স্কুলের সামনের রাস্তাটা ভাঙা। নির্মাণের কাজটি আর্থিক সংকটের কারণে শেষ করা যাচ্ছে না। পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলির সাথে কথা বলেছি, তারা বরাদ্দ প্রাপ্তির আশায় আছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই তারা দ্রুততার সাথে কাজটি শেষটি করবে। লোকালি যেগুলাতে স্পিড ব্রেকার দেওয়া সম্ভব এবং আইন পারমিট করে আমরা সেগুলোতে স্পিড ব্রেকার দিব। হাইওয়েতে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার বিধান নাই সেক্ষেত্রে আমরা জ্রেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করব।”