সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছয়টি ও জলঢাকা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ফলে বিপাকে পড়েছে এই এলাকার এস এস সি পরীক্ষার্থীরা। নিজের পরীক্ষা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর মতো অনিশ্চয়তায় পড়েছে খুশি আক্তারও।
সে বলে, “মঙ্গলবার রাত থেকে বন্যা শুরু হয়, সব কিছু ভেসে গেছে। আমার সামনে এস এস সি পরীক্ষা। লেখাপড়া করব কীভাবে? বইখাতা সব ভেসে গেছে।”
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা ফাতেমা বেগমের ঘরেও আছে পরীক্ষার্থী। তিনি জানান, তাদের বাড়িঘর সব ভেসে গেছে। ভেসেছে বই খাতাও। কীভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে, কী খাবে কিছুই জানেন না।
শুকনা মৌসুমে যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন কৃষক পানি পায় না, তবে এখন তাদের সহায় সম্বল ভেসে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ করলেন ভুক্তভোগী এক কৃষক।
এবারের পানির ঢল সামলাতে পারেনি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট। ব্যারেজকে রক্ষা করতে কেটে দেওয়া হয় ফ্লাড বাইপাস। গত বুধবার তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানির ঢলে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ টি বাধসহ আরও তিনটি বাধ। কালিগঞ্জ টি বাধ বিলীন হওয়ায় পরিবর্তন হয়েছে তিস্তার গতিপথ। এ পথে তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক পরিবার।
১০ নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. লতিফ খান বলেন, “মঙ্গলবার রাতে বন্যা শুরু হলে মানুষ যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় বের হয়ে যায়, পরনের কাপড়টি ছাড়া কিছুই নিয়ে বের হতে পারেনি। এরপর তারা আসলে বাধের উপরে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য সামান্য কিছু শুকনা খাবারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নে পনের’শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ডিমলা উপজেলায় আরো ছয়টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”