জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৯৭ জন, ফকিরহাটে ৩৯১ জন, মোল্লাহাটে ৩৪৪ জন, চিতলমারিতে ৪০৭ জন, কচুয়ায় ৫১৬ জন, রামপালে ২৩৭ জন, মোংলায় ২১৮ জনের, মোড়লগঞ্জে ৩৫৫ জন এবং শরণখোলায় ২৩৭ জনের বাল্যবিয়ে হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখে খোঁজ খবর নিতে শুরু করি। খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি অসংখ্য শিশু শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। দরিদ্রতা, অসচেতনতার কারণে এসব বিয়ে হয়েছে।
“আমরা এসব পরিবারের অভিভাবকদের তালিকা করে তাদের কাউন্সিলিং করে স্কুল বিমূখ শিশুদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রত্যেক উপজেলায় বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের প্রকৃত তালিকা তৈরি করতে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।”
এত শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, “দেড় বছরের অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ে হয়ে যাওয়া ওই শিশুদের আবার কীভাবে স্কুলে ফিরিয়ে আনা যায় সেজন্য সবাই কাজ করছে।”
শিশু অধিকার ও নানা সমস্যার বিষয়ে শিশুদের নানা প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, “করোনা কালে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন, ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়েছেন। সবার নানা ভাবে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব পরিবারে অনেক শিশু পড়ালেখা ছেড়ে শিশু শ্রমে জড়িয়েছে। ঝরে পড়া শিশুদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের কীভাবে আবার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্য শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটিকে তালিকা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
প্রতিবেদক: সানজিদা ইসলাম (১৩), অর্পিতা বিশ্বাস (১৪), বাগেরহাট।