পাঁচ থেকে ১০ টাকায় নানা বই ভাড়া পাওয়া যায় তার এখানে। তবে মহামারি পরিস্থিতিতে তার আয় কমে গেছে বলে জানালেন।
ওমর শরীফ চাকরি করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। তবে স্থায়ী হয়নি তার চাকরি। বই পড়া তার নেশাও। নতুন বই কেনার সামর্থ্য নেই বলে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে পুরনো বই কিনে পড়তেন এবং বইগুলোকে যত্ন করে রেখে দিতেন। তার সেই সংগ্রহ থেকেই বই ভাড়া দেন তিনি।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “সবার মধ্যে পড়ার আগ্রহ তৈরি করতেই আমি বই ভাড়া দেই।”
তার বই পড়ার আগ্রহ দেখে ২০০১ সালে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বিপরীতে শহীদ জররেজ মার্কেটের একটি দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী রুহুল আমিন তার দোকানের এক পাশে বিনামূল্যে ছোট্ট একটি জায়গাও করে দেন তাকে। সেখানেই ওমর শরীফ পুরেনো গল্পের বই ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি বিক্রিও করেন।
নগরীর মুলাটোল এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করেন তিনি। এই ব্যবসাটাকে আরও বড় করার ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক টানাপোড়নে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।