লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বাউরা ইউনিয়ন ও জোংড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা এই অবসরে এবং দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ায় বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
কেউ বাজারের চায়ের দোকানে, কেউবা কাজ নিয়েছে মাছ কিংবা গরুর খামারে। কেউ আবার যোগ দিয়েছে চাষের কাজেও।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাবাকে হারিয়ে নবম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাহিম রাজমিস্ত্রীর কাজ শুরু করছে।
সে হ্যালোকে বলে, “সংসারে অভাবের কারণে কাজ শুরু করছি। জানি না আবার স্কুলে পড়তে পারবো কিনা।”
মহামারিতে গাড়ি মেরামতের কারখানায় কাজ শুরু করেছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী শ্যামল নামের আরেক শিশু। মহামারির পর আবার স্কুলে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সে।
মোটর ওয়ার্কশপে কাজ করছে রাশেদুল ইসলাম নামের আরেক শিশু।
সে বলে, “আমি ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পড়ছি। এখন পড়ি না। জানি না আবার পড়তে পারব কি না।”