গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদে শিশু-কিশোররা 'সাদা পায়রা' নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রামের মানুষকে উৎসাহী করার পাশাপাশি টিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো নানা গুজব সম্পর্কেও সচেতন করছে তারা।
সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবক তাকদীর তানহা জয়ের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো। সে জানায়, টিকা নিয়ে ফেইসবুক ও ইউটিউব থেকে অনেক ভুল ধারণা পেয়েছে মানুষ। কেউ বলছে টিকা নিয়েও মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তাই নিয়ে লাভ নেই, কেউ বলছে টিকা দিয়ে বৃদ্ধ মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, আবার কেউ বলছে এগুলো কোনো ওষুধ নয় শুধু স্যালাইন পানি।
সে বলে, "আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, কোনো টিকাই এখনো শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সাতটি টিকাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এগুলো স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিচ্ছে অনেকটাই। হাজার হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ পাওয়ার পরই কিন্তু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো তাদের জানানোর পর অনেকেই টিকা দিতে রাজি হচ্ছে।"
আজহারুল ইসলাম আতিক নামে আরেকজন স্বেচ্ছাসেবক বলে, "অনেকের হাতে স্মার্টফোন থাকলেও সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়, কোন অপশনটি বাছাই করতে হয় ইত্যাদি বোঝে না। আমরা তাদের সাহায্য করছি। অনেকে বোঝে কিন্তু আলসেমি করে নিবন্ধন করছে না, তাদেরটাও করে দিচ্ছি আমরা।"
পারভীন আক্তার নামে একজন টিকা গ্রহণকারীর সঙ্গেও কথা হয় হ্যালোর।
তিনি বলেন, "আমার টাচ মোবাইল নাই। আমি শুধু ভোটার আইডি কার্ড দিছি, এরপর হেরা সব কইরা একটা কাগজ ধরায়া দিছে। এইডা লইয়া হাসপাতাল গিয়া টিকা লইছি। আমার বাইত আর কেউ লইতে চায় না, ডরায়। তাগোরেও বুঝাইতাছি আমার জ্বর ছাড়া কিচ্ছু হয় নাই, আমি ভালা আছি।"