এ বিষয়ে জানতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
আকাশ আহমেদ থাকেন মিরপুরে। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি হ্যালোকে জানান স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা ঈদ উদযাপন করেছেন।
তিনি বলেন, “ঈদের নামাজ থেকে শুরু করে পশু কোরবানী ও মাংস বিতরণ সবকিছু করেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তাতে ঈদের আনন্দ কমেনি বরং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে সবকিছু করতে পারায় ভালো লেগেছ।”
আদিবা পড়াশোনা করে ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সে জানায় সবার সাথে একত্রে ঈদ করতে না পেরে তার কিছুটা মন খারাপ হলেও সারাদিন বাবা-মাকে সহযোগিতা করে তার ঈদ ভালোই কেটেছে।
সে বলে, “যদিও সবাই বাড়িতে এসে খেতে পারেনি, তবুও জুম মিটিং করে সবাই এক সাথেই ছিলাম।”
পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজছেন শরিফ মল্লিক। যুক্ত আছেন লেখালেখির সঙ্গে। থাকেন ময়মনসিংহের সূর্যপুর গ্রামে। তিনি জানান স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার ঈদ উদযাপনের কথা।
তিনি হ্যালোকে বলেন, "নামাজ, কোরবানী, কুলাকুলি এসব হলো ঈদের বড় অংশ। করোনাকালীন এই ঈদে এসবে নিষেধ থাকলেও গ্রামে এতসব মানা সম্ভব হয়নি। তবে মাস্ক পরেছে অনেকেই। আর ঈদের আনন্দও ছিল বরাবরের মতই।"
মোহম্মদ রাসেল চাকুরি করেন ফার্মগেইট এলাকায়। এবার ঈদে তিনি বাড়ি যাননি কারণ ঈদের পরপরই লকডাউনের কথা আগেই জানিয়েছিল সরকার। ঈদের দিন বাবা-মা পরিবারের সবার সাথে ফোনে কথা বলেছেন তিনি।
বাড়ি না যাবার ফলে কিছুটা মন খারাপ হলেও তার ঈদের আনন্দ কম হয়নি বলে হ্যালোকে জানান।
উৎসব ও প্রতিদিনের কাজে গ্রাম কিংবা শহরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে এই মহামারি অনেকটাই ঠেকানো যাবে বলে জানিয়ে যাচ্ছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।