দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকায় প্রযুক্তির সঙ্গেই শিশুদের অধিকাংশ সময় কাটছে। পড়াশোনার চেয়ে বেশি নানা অনলাইন গেইম তাদের আকৃষ্ট করছে বলে জানায় কয়েকজন শিশু। তারা জানায় গেইমের প্রতি ঝোঁক আগের তুলনায় বেড়েছে তাদের।
জুবায়ের ইসলাম নামে এক কিশোর বলে, “আমরা এখন সব সময় ফ্রি ফায়ার খেলি। আগে যখন স্কুল ছিল তখন এক দুই ঘণ্টা খেলতাম।"
রাকিবুল ইসলাম রাব্বি ও রহমত আলী নামে আরো দুই কিশোরের বয়ানও একই।
সন্তানদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে নানা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ মোবাইল না পেলে শিশুরা নেতিবাচক আচরণ করছে।
তাইজুল ইসলাম নামে একজন অভিভাবক বলেন, “আমি যখন কাজ শেষে বাসায় যাই তখন দেখা যায় আমার সন্তানকে বিনোদনের জন্য মোবাইলটা দিতে হয়। কখনো ছিনিয়ে নেয়, কখনো কান্না থামাতে দিতে হয়। যেভাবেই হোক দিতে হয়, আমি বাঁচতে পারি না। এই করোনা সময়ে আসলে মোবাইল আসক্তি বাড়ছে, বাচ্চারা আসলে মেধাশূন্য হয়ে যাবে এভাবে।"
শফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তার সন্তানের বয়স আট বছর।
তিনি হ্যালোকে বলছিলেন, “আমার সন্তান সবসময় ব্যস্ত থাকে মোবাইল নিয়ে। কখন সে মোবাইল পাবে, কখন পাবজি গেইম খেলবে। সেক্ষেত্রে কখনো যদি তার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেওয়া হয়, সে খুব নেতিবাচক আচরণ করে। আমার মনে হয় শুধু আমার বাচ্চা না এই মহামারিতে সবার বাচ্চারই এই অবস্থা হইছে।"