৪০ বছর ধরে নগর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করছেন আব্দুল জলিল। সাভারের হেমায়েতপুর থেকে এসে রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডে কাজ করেন তিনি।
জলিল হ্যালোকে বলছিলেন, “রাত ৩টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাজ করি। লকডাউনে কষ্ট হলেও আমাদের ঠিকই আসতে হয়।”
একই ওয়ার্ডে কাজ করেন সাহারা খাতুন। গাবতলী বেড়িবাঁধ থেকে এসে কাজ করেন তিনি। যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে তার। তাদের এই কাজে কোনো ছুটি নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাহারা হ্যালোকে বলেন, “সবার নানা রকম ছুটি থাকলেও আমাদের কোনো ছুটি নাই। আমাদের প্রতিদিনই কাজ। এইখানে কাজ কইরা ১০ হাজার টাকা পাই তা দিয়েই সংসার চালাই।”
কথা হয় কুলসুম বেগম নামে আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সঙ্গে। মহামারিতে বেতনের বাইরেও সাহায্য প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
কুলসুম হ্যালোকে বলেন, “আমরা বেতনের বাইরে কোন সরকারি সাহায্য পাই না। আমাগোর যা বেতন তাই।”
কখনো রাতে আবার কখনো ভোরে শহরের বিভিন্ন সড়কে কাজ করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। সবার ঘুম ভাঙার আগেই শহরকে ঝকঝকে করে তুলতে ঝাড়ু চালান দ্রুত হাতে।