জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলবাসীকে প্রতিনিয়ত বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সবকিছু হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে।
রসূলপুর বস্তিতে বসবাস করেন শিউলি নামের এক নারী।
তিনি হ্যালোকে বলছিলেন, “এই বস্তিতেও পানি উঠে। তখন তো কষ্ট অয়। এক সপ্তাহ পানি থাকে, পাঁচ ছয়দিন গেলে আস্তে আস্তে পানি নামতে থাকে। এর মধ্যে কোনো কাজ করতে পারি না।”
খাবার জোগানোটাই তাদের কাছে কষ্টসাধ্য। সেখানে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা ভাবতেও পারেন না তারা।
কীর্তনখোলার বুকে নৌকাতেও অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন অনেকে; যাদের অনেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সর্বস্ব হারিয়েছেন।
নৌকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করা এক নারী হ্যালোকে বলেন, “আমার পাঁচ ছেলেমেয়ে কেউ লেখাপড়া করে না। আমাগরে আল্লায় হেই তৌফিক দেয় নাই। আমাগোরে যদি সরকার ঘর-বাড়ি দিত তাইলে একটা ভালো পরিবেশ পাইতাম। মাইয়া পোলারে লেখাপড়া করাইতে পারতাম।"