সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে বাহারি রঙের চিত্র আঁকা রঙিন দেয়াল, সবুজ বাগান আলাদা প্রশান্তি এনেছে পাঠাগারের আঙিনায়। আগের চেয়ে বেড়েছে বইয়ের সংখ্যা। অনেক নতুন বই যুক্তি হয়েছে বইয়ের তাকে। সব মিলিয়ে ষাট বছরের পুরোনো পাঠাগারটি নতুন এক চেহারা পেয়েছে।
জানা যায়, ফেনীর রাজাঝির দিঘীর পারে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় নবীনচন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরি। নবীনচন্দ্র সেন ফেনী মহকুমার প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলে। তিনি এখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ফেনীতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার নাম অনুযায়ী পাঠাগারটির নামকরণ করা হয়।
পাঠাগারটি সংস্কার করায় এবং বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তরুণরা পাঠাগারে যেতে আগের চেয়ে আরো বেশি উৎসাহ বোধ করছে বলে জানাল কর্তৃপক্ষ।
নাসিফ আল মাহমুদ আর নাফিম আল মাহমুদ দুই ভাই। তাদের দুজনেরই ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রায়ই পাঠাগারে যায় তারা।
নাসিফ আল মাহমুদ হ্যালোকে বলে, “আগের তুলনায় লাইব্রেরিতে এখন একটু বেশি আসা হয়, কারণ এখন এর পরিবেশ অনেক মনোমুগ্ধকর, বসার কিছু সুন্দর জায়গা আছে।”
নাফিম বলে, “বর্তমানে লাইব্রেরিটিতে অনেক বই তোলা হয়েছে, আমরা অবসর সময়ে সেখানে বই পড়ি।”
তবে সারাদেশ জুড়ে চলা লকডাউনে বন্ধ আছে এই পাঠাগারটিও।
[এই প্রতিবেদনটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আগে তৈরি]