পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকায় বেশ কিছু বেত-মৃৎ শিল্পী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন।
লকডাউনের আগে তাদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। জানান, বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা খারাপ হওয়ায় পেশা বদলের কথা ভাবছেন তাদের অনেকেই।
শ্রী বাবুরাম দাস নামের একজন কারিগর বলেন, “বেতের পণ্য এখন ধ্বংসের পথেই চলে যাচ্ছে। কারণ প্লাস্টিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে হেরে যাচ্ছে। কারিগরও আগের মতো নাই, তাদের বংশধররাও এ কাজে আসে না কারণ মজুরিই উঠে না।”
বেতের তৈরি পণ্য বিক্রি করেন নওশাদ আলী। তিনি বলেন, “কাজ অনুযায়ী দাম তুলনামূলক অনেক কম, পর্তা হয় না। তাই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।”
স্বাভাবিক সময়ে কিছুটা বিক্রি হলেও মহামারির কারণে তা প্রায় বন্ধের পথে বলে জানালেন তারা।
এ পেশায় থেকে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন বলে নতুন প্রজন্মের কেউ এই পেশার দিকে আসতে চান না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে হয়তো এই শিল্পগুলো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।