কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। তার গ্রামে তিনিই প্রথম এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন।
আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “পাঁচ কাঠা জমির অর্ধেক বেগুন আর অর্ধেক মরিচ লাগাইছি। ইন্টারনেট থেইকা এই পদ্ধতি জানতে পারছি।”
এই পদ্ধতিতে প্রথমে পরিমাণ মতো সার দিয়ে জমি প্রস্তুত শেষে সারি তৈরি করা হয়। সেই মাটির সারিগু্লো শক্ত পলিথিনের আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর পলিথিনের আবরণ ফুটো করে সবজির চারা রোপণ করা হয়।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে রয়েছে বেশ কয়েকটি সুবিধা। চারা রোপণের পর থেকে শুধুমাত্র দেখভাল করা ছাড়া তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। মাটির সারিগুলো পলিথিনের আবরণে আবৃত থাকায় বাইরের পোকামাকড় চারায় আক্রমণ করতে পারে না। ফলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। তাই উৎপাদন প্রক্রিয়া থাকে পরিবেশ বান্ধব এবং বেচে যায় খরচও।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, “অন্যান্য কৃষকরাও এই পদ্ধতি গ্রহণ করবেন বলে আশা করি। আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তাদের সহযোগিতা করবেন। ইতিমধ্যে আড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।”