স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টি হলেই পানি ও কাদা জমে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই রাস্তা দিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা সদর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর জেলাসহ উপজেলার ও আরও কয়েকটি ইউনিয়নে যাতায়াত করে।
এখানে সাপ্তাহিক দুই দিন হাট বসা ছাড়াও তিনটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
পথচারী প্রেমহরি (৬৫) নামের এক ব্যক্তি হ্যালোকে বলেন, “রাস্তা খাল বিল হয়ে গেইছে, তাহো সরকার দ্যাখে না। হামা চলাচল করিবা পারি না।”
আরেক পথচারী হরি কিশোর বর্মন হ্যালোকে বলেন, “পানি কাদার তানে হামার সমস্যা হয়। ঐতানে হামা হাটে যাবা নাগে। আস্তা তাড়াতাড়ি ঠিক করিবার অনুরোধ করেছি।”
এ পথের অটোরিকশা চালক ইদু রায় বলেন, “গাড়ি পাল্টি খাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এখানেই বেশির ভাগ সময় জ্যাম লাগে। এখানেই বেশি সমস্যা হচ্ছে।”
মোকছেদুল ইসলাম (৪২) নামের এক ধান ব্যবসায়ী বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে উপজেলায় যাই, ঠাকুরগাঁও যাই, দিনাজপুর যাই। শত শত মানুষ এই রাস্তায় দিয়া যাতায়াত করে। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা কেউ দেখে না। বৃষ্টি হলেই পানি ও কাদা জমে তখন হেটে যাওয়ার মতো অবস্থাও থাকে না।”
পাঁচপীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির প্রধান বলেন, “গত বছর পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু ইটের খোয়া ফেলেছি। এ বছর অর্থ না থাকায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে দাবি জানাই।”