ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে তার বাড়ি। পোরকিতের পড়াশোনার সুযোগ হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। টাকার অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। তাই বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই কাজ শুরু করছে গ্যারেজে।
দিনের সারাটা সময় কাজ করে ও। কখনো ইঞ্জিন চেক করা আবার কখনো বা ক্লাচ ঠিক করাই তার কাজ।
ও বলে, "এখানে কাজ করে প্রতিদিন যে ৫০ টাকা পাই তাই তুলে দেই বাবা-মায়ের হাতে।"
পোরকিত স্বপ্ন দেখে একদিন পরিবার সচ্ছল হবে, গ্যারেজে কাজ শিখে নিজেই দোকান দেবে।
পোরকিত হ্যালোকে বলে, “আমাদের সংসারে অনেক অভাব। বাবা মায়ের কথায় আমি এখানে কাজ শিখতেছি।
“আমি কাজ শিখে বড় হয়ে দোকান দিতে চাই”।
গ্যারেজে মোটর বাইক সার্ভিসিং করতে এসে প্রায়ই পোরকিতকে খেয়াল করে মাহাবুবুর রহমান বুলু নামের এক গ্রাহক। তার নিজেরও জানা পোরকিতের জীবনের গল্প ।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই আসি এখানে। ওকে দেখছি অনেক দিন ধরেই কাজ করতে। বাবা সংসার চালাতে পারে না, পড়াশোনার খরচ চালাতে পারে না তাই এখানে কাজ করছে।"