বরিশালের কার্তনখেলা নদী সংলগ্ন কেডিসি এলাকা ঘুরে কথা হয় কয়েক জন শিশুর সঙ্গে।
সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সুমন নামের এক কিশোর বলে, "আমি আগের মতো লেখাপড়া করতে পারি না, শুধু খেলাধুলা করি। অল্প স্বল্প লেখাপড়া করি। আমাদের স্কুল যদি খুলে দিত তাহলে অনেক উপকার হইত।"
আরেক ছাত্র রফিক বলে, “স্কুলে ম্যাডাম পড়া বুঝিয়ে দিত এখন আর কেউ বুঝায় দেয় না, বুঝাইলেও কম।"
সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে অভিভাবকেরাও রয়েছেন আশঙ্কা এবং উৎকণ্ঠায়।
ওই এলাকার একজন অভিভাবক বলেন, “এক বছর ধইরা মনে করেন ছেলেমেয়েরা প্রাইভেটও যায় না, পড়তেও বসে না। খেলাধুলা নিয়া মাইতা থাকে। আর দুষ্টামি করে।"
আরেক অভিভাবক বলেন, “স্কুল খোলা থাকলে আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করত, অনলাইন ক্লাস করত। এখন তো অনলাইন ক্লাসও করে না, আমাদের আয় রোজগারও কম, পড়াতেও পারি না।"
এভাবে চলতে থাকলে অনেক শিশুই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়বে বলে মনে করেন অভিভাবকদের কেউ কেউ।