তার বাড়ি উপজেলার পদুরগাতি গ্রামে। ৭২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ একজন কয়লা বিক্রেতা, নাম মনিরউদ্দিন। এই বয়সে তার বিশ্রাম করার কথা থাকলেও দিনের প্রতি মুহুর্তেই দেখা যায় তার কর্মচঞ্চলতা।
প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে কয়লা সংগ্রহ করেন তিনি। তারপর সেগুলো বাজারে এনে কামারের দোকানে বিক্রি করেন ।
বাজারে একজন কামার বললেন,“আমি অনেক বছর যাবত তার কাছ থেকে কয়লা কিনি। ছোটবেলা থেকে দেখতাম আমার বাপ দাদারা ওনার কাছ থেকে কয়লা কিনত। এখন আমি কিনি।“
ওই বাজারেরই আরেকজন কামার বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখি উনি এই কাজ করেন। এখনও করতেছেন।”
১২ বছর বয়স থেকে এ কাজ করে আসছে মনিরউদ্দিন।
মনিরউদ্দিন হ্যালোকে বলেন, “আমি ষাট বছর ধইরা এই কাজ করতাছি। এই কাজটা আমারটাইন ভালা লাগে। দিনে দশ বারটা গেরাম ঘুরি, দুই তিনশ টেহা থাকে আরকি।”
এই বয়সে এত ভারি কাজ করতে দেখে অনেকে ভাবতে পারেন অভাবের তাড়নায় এ কাজ করছেন তিনি। কিন্তু আসলে তা নয়। চার ছেলে ও দুই মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছেন , পাকা বাড়িও করেছেন। আজ তার অভাব নেই। তবুও কাজ ছাড়া থাকতে পারেন না মনিরউদ্দিন।
মনিরউদ্দিন এর ছেলে বলে, “আমরা না করা সত্বেও উনি এ কাজ ছাড়েন নাই। উনি বলেন এটা পূর্বকালীন ব্যবসা এটা আমি ছাড়তে পারব না।“
দীর্ঘদিনের এ কাজ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তার। তাই বার্ধক্যও দমিয়ে রাখতে পারেনি তার কাজ করার ইচ্ছাশক্তিকে।