মা দিবস নিয়ে কথা হয় চারজন নারীর সঙ্গে। যারা নিজেরাও মা হয়েছেন, থাকেন মায়ের কাছ থেকে দূরে। মাকে স্মরণ করে নিজেদের অনুভূতির কথা হ্যালো কে জানান তারা।
কথা হয় জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক তানজিলা খাতুনের সাথে। কয়েকমাস আগেই তার মা তারই হাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মন থেকে এখনো ভুলতে পারেননি সেই স্মৃতি। সারাক্ষণই মায়ের স্মৃতিতে আচ্ছন্ন থাকেন তিনি।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমার মায়ের ইচ্ছাতেই আজ আমি এই জায়াগায় এসেছি। মা আমাকে পড়াশোনার জন্য দূরে পাঠিয়েছিলেন। আমি আমার গ্রামের একমাত্র মেয়ে যে সর্বপ্রথম এসএসসি পাস করেছি। এ অবদান শুধু আমার মায়ের।”
খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মৌসুমী সুলতানার মা ছিলেন একজন সরকারি চাকুরিজীবী।
ছোট থেকেই মায়ের লড়াকু সংগ্রাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই তার পথচলা। মায়ের জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে সব সময় পাশে থেকেছেন, আজও মায়ের পাশে রয়েছেন।
মাকে নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি হ্যালোকে বলেন, “আমরা এখনো কোনো ভুল করলে মা আমাদের শুধরে দেন।”
সরকারি চাকুরিজীবী অশ্রু বোরহানের মা দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী। দীর্ঘসময় ধরে তাকে সেবা করেছেন নিজ হাতে।
ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কারণ তার মায়ের স্মৃতিতে বর্তমানে কিছুই নেই। তারপরও আশা ভরসার স্থল হয়ে বেঁচে আছেন বলে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
তিনি হ্যালোকে বলেন, “মা আমার সবকিছু। সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। যখন মায়ের হাত ধরে ঘুরতাম। আজ মা অসুস্থ। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চাই মা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।”
গৃহিনী নুরজাহান খানমের মা মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় তিন বছর হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত থেকে তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। মায়ের কথা স্মরণ করতেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন, গলা ধরে আসে।
যাদের মা বেঁচে নেই শুধুমাত্র তারাই এ অনুভূতি জানেন। এই মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য থাকবে অনেক অনেক শুভকামনা, সকল মা বেঁচে থাকুক সুস্থ থাকুক এবং সন্তানদের সাথে থাকুক।