সাপোর্টেড বাংলাদেশ ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার এর তথ্যমতে নানান রকম শ্রমে যুক্ত আছে আমাদের দেশের প্রায় ১৩.৪ শতাংশ শিশু। কোভিড ১৯ এর কারণে এই হার আরো বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। তবে, নানান পেশায় যুক্ত থাকলেও তারা কি দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে?
এক সময় শিশু শ্রমজীবী ছিলেন মনোয়ার হোসেন। শিশু বয়সেই গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। আজ নিজেই একটি গ্যারেজের মালিক। ছোট, বড় অনেকেই আজ তার গ্যারেজ কাজ করছে।
তার সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। বলেন, “কিছু পেশা রয়েছে যা তাদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে পারে। আমাদের দেশে অটোমোবাইল সেক্টরে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। শ্রমজীবী শিশুরা এখানে কাজ করলে ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট হবে না”।
শাহ আলম নামে বারো বছরের এক শিশু কাজ করছে এক গ্যারেজে। বড় হলে সেও গ্যারেজ দেবার স্বপ্ন দেখে।
সে বলে, “আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি। এখন মেকানিকের কাজ শিখছি। বড় হয়ে মেকানিক হব।”
বেতন কম হলেও অনেকেই গ্যারেজে শুরু কাজ শেখার জন্য থেকে যায়। তাদের মধ্যে নয় বছর বয়সী বুলুও একজন।
সে হ্যালোকে বলে, “এখানে কাজ শিখতেছি। বড় হয়ে মেকানিক হতে চাই।”
সারা পৃথিবীজুড়ে পহেলা মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। রোজ আট ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে শ্রমিকরা প্রাণ দিয়েছিল। এই দিনটি তারই স্বীকৃতি।